-
- সারাদেশে, সাহিত্য
- কবি মুসা আল হাফিজকে জালালাবাদ লেখক ফোরামের সাহিত্য পদক প্রদান
- আপডেট সময় July, 27, 2019, 3:22 pm
- 339 বার পড়া হয়েছে
আবু তালহা তুফায়েল :
বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, ইতিহাসবিদ, সিলেট তথা গোটা বাংলাদেশের তারুণ্যের অহংকার অনেক সাহিত্য পদক প্রাপ্ত, সাহিত্য জগতের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দীপ্তিমান ব্যক্তি ও জালাবাদ লেখক ফোরামের সহ-সভাপতি “কবি মুসা আল হাফিজ” কে সিলেট বিভাগ ব্যাপী বৃহৎ সাহিত্যাঙ্গণ ‘জালালাবাদ লেখক ফোরাম’র পক্ষ থেকে সাহিত্য পদক প্রদান করা হয়।গত ২৬ জুলাই শুক্রবার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের মিলনায়তনে দিন ব্যাপী (সকাল থেকে সন্ধা) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রুহুল আমিন নগরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় “লেখক সম্মেলন ও জালালাবাদ সাহিত্য পদক প্রদান অনুষ্ঠান”। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরে মাওলা।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক ও দৈনিক ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক আল্লামা উবায়দুর রহমান খাঁন নদভী বলেন: আল্লাহ তার রাসূল সা.কে শুরুতেই যে ওহি দিয়ে নবুওতের দায়িত্ব দিয়েছেন, সেখানে সর্বপ্রথম শব্দ ছিলো “পড়”। তুমার রবের নামে পড়। সেখানে সাহিত্যিকতার মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সর্বকালের নবী রাসূলদেরকে আল্লাহ তখনকার যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ও ভাষাবিদ বানিয়ে প্রেরণ করতেন। তাছাড়া এখনকার যুগে সবচে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কলমবাজির মোহড়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। আমাদের অধঃপতন কখনো সম্ভব নয় যদি আমাদের কলমকে শাণিত করে বিশ্ব দরবারে তোলে ধরতে পারি আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে। ইসলাম কখনো নিষেধ করেনি সে ভাষা হোক আর এ ভাষা হোক তুমি শিখতে পারবেনা, বরং ইসলাম বলে দিয়েছে বাতিলের অপসক্তির জবাবে যেকোনো রাষ্ট্রে গিয়ে হলেও সে ভাষা শিখে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। তাই সাহিত্যিকতায় আমাদের আরো অনেক এগুতে হবে। আমি আশা রাখি জালালাবাদ লেখক ফোরাম থেকে কবি মুসা আল হাফিজের মত আরো লেখক ও সাহিত্যিকদের আবির্ভাব ঘটবে ইনশাআল্লাহ। ইনশাআল্লাহ! সাহিত্য পদক প্রাপ্ত বা সংবর্ধিত অতিথি গবেষক, লেখক ও সাহিত্যিক কবি মুসা আল হাফিজ বলেন: আবিষ্কার বা গবেষণা দ্বারাই মানুষ সবকিছু জয় করছে। গবেষণা শব্দের উৎপত্তি গো+এসোনা=গবেষণা। শুরুতে মানুষ মারা গেলে কিভাবে দাফন করা হয় তা জানা ছিলোনা, তখন আল্লাহ কাক প্রেরণ করলেন, তা থেকে গবেষণা করে মানুষকে কিভাবে দাফন করে তা জানতে পারে।আসলে ইসলাম হলো গবেষণার দৃষ্টিভঙ্গি। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে গবেষণা করো, দেখা যাবে বিজ্ঞানের যত বিষয় নিয়ে আমরা,পর্যালোচনা করিনা কেনো, কুরানের কোনো না কোনো ১টি যায়গায় তার রহস্য আছে।যেমন গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে যারা চিন্তা করে তাদেরকে জেষ্যতি বিজ্ঞানী বলে, পরিবেশ নিয়ে যারা গবেষণা করে তাদেরকে পরিবেশ বিজ্ঞানী বলে। আর এগুলো হলো বর্তমান বিশ্বে আলোচিত বিষয়। মন নিয়ে যারা চিন্তা করে।দেহ নিয়ে যারা চিন্তা করে তাদেরকে চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলে। নিতান্ত মানুষের বর্ণ নিয়ে কথা বলে তাদেরকে তর্ক শাস্ত্র বা মুতকল্লিম বলে। যেমন ড্রোনাল ট্রাম্প। এসবকিছুই কুরানে বর্ণিক আছে।তাছাড়া তিনি সর্বশেষ বলেন আমাকে পদক দেয়া হচ্ছেনা, চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে আমাকে ১টা বোঝা। প্রত্যেকদিন আমাকে এই পদক তিরস্কার করবে, নির্দেশ করবে যে তুমি এতবড় দায়ভার নিয়েছো, তুমাকে জাতির কল্যাণে আরো এগুতে হবে। এসবকথা তিনি শুকরিয়া জ্ঞাপনার্থে বলেন।আরো বক্তব্য রাখেন: বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জনাব আবুল কাশেম, কবি কালাম আযাদ, সিলেটের ডাকের নির্বাহী সম্পাদপ আব্দুল মালিক শিহাব, লেখক গবেষক সেলিম আউওয়াল, মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহমুদ রেজা চৌধুরী, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান, লেখক মাহমুদুল হাসান, লেখক ও ইসলামী চিন্তাবিদ জুনায়েদ কিয়ামপুরি, সালাহ উদ্দিন, ডঃ শামছির হারুনুর রশিদ।অনুগত প্রকাশ করেন: সিলেট সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ শাহিদ হাতেমী, এমদাদুর রহমান চৌধুরী, ল মাওলানা কবির খাঁন, মুনসী আব্দুল কাদির খাঁন, তৌহিদী পরিক্রমার সহ-সম্পাদক তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, সাদিক আহমদ, এহসান বিন জাহিদ, মাওলানা নুরুজ্জামান সায়িদ, সায়্যিদ সালিম ক্বাসেমী, শায়খ তাজুল ইসলাম, শফি উল্লাহ মাসরুর, বাংলা একাডেমীর ফেডারেল আবু সালেহ আহমদ, এম এম শাহিন, শাহীন উল্লাহ, ডা. মুহাঃ ফয়জুর হক, তোফায়েল আহমদ উসমানী, মাওঃ এহসান উদ্দিন, বিলাল আহমদ সুরাইঘাটি প্রমুখ।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৭ জুলাই ২০১৯/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর